বিরোধী দলের সভা–সমাবেশে হামলা-মামলা ও নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গত কয়েক দিনের রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বাম জোটের নেতারা বলেছেন, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে। রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কারও মৃত্যু কাম্য নয়।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদ, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে’ দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহিদুল ইসলাম ও সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা দেশকে আরও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে। তাঁরা বলেন, সরকার যেনতেন প্রকারে আরেকটি নির্বাচন পার করাতে চায়। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে এ ধরনের অপচেষ্টার ফল ভালো হবে না।
বাম নেতারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। জনগণকে অসহায় করে লুটেরা গোষ্ঠী পকেট ভারী করছে। সরকারের উন্নয়নের গল্প সাধারণ মানুষের কাছে ফানুসে পরিণত হচ্ছে।
সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৪ নভেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।