টাঙ্গাইলে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। গত দু’সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলছে গরমের তীব্রতা। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেই প্রখর রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সেই সাথে পশুপাখিগুলোর হাঁসফাঁস অবস্থা। তাই গরম থেকে রক্ষা পেতে পানির ট্যাব বা পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে শরীর ভিজিয়ে ঠান্ডা করছে মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে বছরের সর্বোচ্চ গরম অনুভূত হয়েছে এ জেলায়। একটু স্বস্তির আশায় ডাব ও শরবতের দোকানে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার ৪০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিস।
এদিকে প্রচণ্ড খড়তাপে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। তপ্ত রোদে মৌসুমি সবজি চাষিরা রয়েছেন বড় দুশ্চিন্তায়। এছাড়া ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাসপাতালে বেড়েছে গরম জনিত রোগীর সংখ্যা। অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
পথচারী সাব্বির হোসেন বলেন, প্রচন্ড গরম হওয়ায় বাইরে বের হওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। জরুরী প্রয়োজনের কারনেই বাইরে বের হওয়া। এখন বৃষ্টি হলে অনেক ভালো হত। আমরা শান্তি পেতাম।
কৃষক সোরহাব মিয়া বলেন, আমি বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি চাষ করি। রোদের তাপে শুকিয়ে যাচ্ছে খেত। বৃষ্টি না হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
রাজ মিস্ত্রি শ্রমিক সোনা মিয়া বলেন, অন্যান্য পেশার তুলনায় আমাদের কাজে পরিশ্রম বেশি। আর কয়েক দিনের রোদে আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে কাজ করতে হয়। বসে থাকলে তো চলবে না। তাই কষ্ট করেই কাজ করছি।
রিক্সা চালক কদ্দুস মিয়া বলেন, রোদের কারনে মানুষ আর বেশি বাইরে বের হয় না। সে কারনে আমাদের আয় হচ্ছে না তেমন। আগে দিনে ৫০০-৬০০ টাকা আয় হত। আর এখন ৩০০-৩৫০ টাকার মত আয় হয়। আমাদের রিক্সা জমার টাকা তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এভাবে রৌদ থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৪০ দশমিক ০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।