টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বিপিএম’র সহযোগিতা সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা দিতে নির্ঘুম রাত কাটান পুলিশ কর্মকর্তারা। স্বাভাবিক দায়িত্বের পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন রাত ১১ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক, টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কসহ শহরের গুরত্বপূর্ণ এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন তারা। এতে স্বস্তি ফিরছে সাধারণ জনমনে।
গত ১ সেপ্টেম্বর মো. সাইফুল ইসলাম সানতু টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদান করেই প্রতি রাত জেগে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, ছিনতাইসহ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিজে মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাত্রিকালীন ডিউটিরত অফিসার্স ও ফোর্স বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিদের্শনা প্রদান করেছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে পুলিশ সুপার দিন রাতের অধিকাংশ সময় মাঠে থাকায় পুলিশ সদস্যদের কর্মতৎপরতাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনসাধারনের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বাস চালক সোহেল রানা বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মহাসড়কে যত বেশি পুলিশ থাকবে তত আমাদের ও যাত্রীদের ভয় কেটে যাবে। সবই মিলিয়ে বর্তমানে স্বস্তিতে বাস চালাচ্ছি।
মোটরসাইকেল চালক আসাদ মিয়া বলেন, পুলিশের তৎপরতায় শহরের যানজট অনেকটা নিরসনে। আগের চেয়ের পুলিশের ব্যবহার অনেক ভাল হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি, সকলে ট্রাফিক আইন মেনে চললে যানজট আরও কমে যাবে।
জেলা পুলিশের কয়েক জন কর্মকর্তা জানান, মহাসড়ক থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গুরত্বপূর্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। গুরত্বপূর্ণ এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি রোধকল্পে রাতে চেকপোস্টের পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বড় যানবাহন ও ছোট যানবাহনের চালক এবং যাত্রী এবং সাধারণ মানুষদেরও আহ্বান করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বিপিএম বলেন, টাঙ্গাইলের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই জেলা পুলিশের প্রধান লক্ষ্য।