টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফারুকের জন্য সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের কমান্ডার ইন চীফ লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, যে কাজ করে ভুল তারই হয়- যে কাজ করে না তার ভুল হয়না। ফারুক ভুল করেছে কি-না তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী ফজলুর রহমান ফারুককে আপনারা ক্ষমা করে দিবেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বাদ আছর টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সামাজিক গোরস্থান মাঠে মরহুম ফজলুর রহমান খান ফারুকের জানাজা নামাজে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ফজলুর রহমান ফারুকের পরিবারের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের গণমানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই আমি বন্ধু ফারুকের জন্য সকলের কাছে নত মস্তকে ক্ষমা প্রার্থণা করছি। আপনাদের যদি মন থাকে, মানুষ ভুল করে, আমিও ভুল করি- যদি মনুষত্ব থাকে তাহলে তাঁকে নি:স্বার্থে ক্ষমা করে দিন।
সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধু মুজিবের পদতলে বসে এই বাংলাকে ভালোবেসেছি, সেই মুজিব অনুসারীদের পক্ষ থেকে, পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে ক্ষমা করার, আমাকে ক্ষমা করার অনুরোধ করছি।
এরআগে শনিবার(১৯ অক্টোবর) সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে টাঙ্গাইল শহরের থানাপাড়ার নিজ বাসভবনে একুশেপদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি এক ছেলে এক মেয়ে সহ বহু সহকর্মী, সহমর্মী ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
ফারুকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের থানাপাড়ার বাসভবনে জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেদনা জানাতে সমবেত হলেও নিজ দলের কোন নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। তিনি সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কয়েকটি মামলার আসামি ছিলেন।
তাঁর জানাজা নামাজে পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নিলেও তাঁর একমাত্র ছেলে সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ উপস্থিত হতে পারেননি। এছাড়া একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাও দেওয়া হয়নি। পরে তাঁকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সামাজিক গোরস্থানে সাধারণভাবে দাফন করা হয়।