টাঙ্গাইলে মাছ ব্যাবসায়ীকে কিলার গ্যাংয়ের প্যাডে (হত্যাকারী দল) একটি চিঠি দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়াতে ব্যাবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চিঠিতে উল্লেখ থাকে যে চিঠি পাওয়ার পর তুই যদি বিষয়টি নিয়ে কারো সাথে শেয়ার করস বা আইনি প্রক্রিয়ায় যাস তাহলে তোকে কবর দেয়ার জন্য তোর লাশ পরিবার খুঁেজ না পাওয়ার ব্যাবস্থা আমরা করবো। চিঠিতে আরো উল্লেখ থাকে মনে রাখবি প্রশাসন তোর সাথে সব সময় থাকবে না। আর বাচঁতে পারবি না। তোর সঠিক বুদ্ধিমত্তার সিদ্ধান্ত তুইসহ তোর পরিবার সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও চিঠিতে লেখা থাকে যে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যাবসা করে যাচ্ছিস। এতে তোর কোন প্্রতিদন্দি নাই।দাকিকৃত ৫ লাখ টাকা তোর কাছে কিছু না। তাই আগামী আগষ্টের ৩ তারিখে রবিবার সন্ধা ৭ টার সময় একটি শপিং ব্যাগে করে কাগমারী মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে একটি গাছে ফরহাদের ছবি লাগানো আছে সেই গাছের নিচে রেখে যাবি।
জানা যায়, সদর উপজেলার পৌর এলাকায় সন্তোষে বিশিষ্ট মাছ ব্যাবসায়ী মো.আজাহারুল ইসলামকে গতকাল বৃহস্প্রতিবার রাতে তার কর্মচারির হাতে অচেনা একজন একটি চিঠি দিয়ে আসে। সেই চিঠি আজ শুক্রবার সকালে সেই কর্মচারি ব্যাবসায়ী মো.আজাহারুল ইসলামকে দেয়।
সন্তোষ বাজার কমিটির আহবায়ক মো.জুবায়ের হোসেন বলেন, মাছ ব্যাবসায়ী আজাহার ভাই একজন সৎ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যাবসার সাথে জড়িত। হঠাৎ করে আজকে সকালে শুনতে পেলাম তার কাছে একটি চিঠি এসেছে। সে চিঠিতে ৫লক্ষ টাকা চাদা দাবি করেছে। তিনি আরো বলেন এধরনের ঘটনা আমাদের সন্তোষ এলাকায় দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এপযন্ত শুনতে পাইনি। তাই তিনি মনে করছেন এচিঠিতে ব্যাবসায়ী মহল এক ধরনের আতঙ্কে কাজ করছে।
আতংকিত মাছ ব্যাবসায়ী মো.আজাহারুল ইসলাম বলেন,আমার কর্মচারি নিশা একজন অশিক্ষত লোক। তিনি দর্ঘিদিন ধরে আমার কাছে থাকে। গতকাল বৃহস্প্রতিবার রাতে অচেনা একজন লোক একটি চিঠি দেয়। তিনি সে চিঠি পরের দিন শুকবার সকালে আমার হাতে দেয়। এসময় কর্মচারি বলেন একটি ক্লাব থেকে আপনাকে এই চিঠি দিয়ে গেছে। চিঠি খুলে দেখার পর আমার ভিতর ভয়ের কাজ করছে। সেই সাথে আমার পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। এবিযয় তিনি সন্তোষ পুলিশ ফাড়িতে অফিসার ইনর্চাজকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তিনি উধতন কর্মকতাদের সাথে কথা বলেছে। তিনি আরো জানান রাতে সদর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করবো।
এবিষয় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,সদর সার্কেল এইচ.এম.মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন,বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ তানভীরের সঙে কথা হয়েছে। তাকে ইনেকটেকশন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এর দ্রুত তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছি। এধরনের সংবাদ টাঙ্গাইলে এর আগে পাইনি। তাই বিষয়টি খুব গবীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।