কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতার লোভ নেই। একটি যৌক্তিক সময় পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকতে হবে। এই সময়টি দুই বছরের বেশি নয়। ইউনূসের উপর শুধু জুলুম করা হয়েছে। ইউনূসকে যদি আমরা দেশের পক্ষে ও কাজে খাটাতে পারতাম তাহলে বাংলাদেশ আরও বেশি লাভবান হতো। আশা করছি তিনি মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে পারবেন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসভবনে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস বিফ্রিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সর্ম্পকে তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এখন পর্যন্ত থানা থেকে পুলিশ পালিয়ে এসেছে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমি সব পুলিশকে আহবান করবো আবারো থানায় ফিরে যান এবং আপনারা আইনের নির্দেশ মেনে চলবেন। যদি আপনারা আবারো দলবাজি ওটিবাজি করেন তাহলে আপনাদের কোন ভবিষ্যত নেই।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু এক নয়। আমি আশা করবো এই সরকার বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করবে এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করবেন। এর সঠিক বিচার না করলে এই সরকারকে তার জবাবদিহিতা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু এ দেশের সম্মান। তার ভাস্কর্য এভাবে ভাঙা উচিত হয়নি। এটা যদি আন্দোলনকারীরা ভেঙে থাকে, আন্দোলনের পক্ষের লোকেরা ভেঙে থাকেন তাহলে তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, এ রকম জীবনহানী এতো অল্প সময়ে আমরা দেখিনি। আমার কাছে মনে হয় এটি বাংলাদেশের জয়। বাংলাদেশের মানুষের বিক্ষোভের জয়। ছাত্ররা যে আন্দোলন করেছে তা বিপথে পরিচালনা করার জন্য স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে। এটা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেও নেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি সাবধান করবো। যারা আন্দোলন করে সফল হয়েছেন সফলতার পূর্ব শর্তই হচ্ছে ন্যায় বিচার, অন্যের প্রতি ভালো আচরণ, বিনম্রতা।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের নিন্দা জানান এবং তা দ্রুত তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলেন তিনি। এছাড়া সারাদেশে যে জ¦ালাও-পোড়াও করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তা গুটিয়ে আনা না হলে অত্যাচারকারীরা জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাবে। দুর্নীতির বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এই সরকার এদেশের দুর্নীতি একেবারে শেষ করতে পারবেন না। তবে দুর্নীতির গলা চেপে না ধরতে পারেন, তাহলে তাদের প্রতিও এ দেশের মানুষের আস্থা থাকবে না। মানুষ কিন্তু প্রথম চায় দেশ দুর্নীতিমুক্ত সমাজ। এই ১৫টা বছর এ দেশে শুধু অন্যায় আর অন্যায় হয়েছে। এই আন্দোলন কোটা সংস্কারের জন্য এতো সফলতা আসেনি। বৈষম্যের জন্যও আসেনি। মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছে। তিন/চারটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ মানুষের ইচ্ছার বাইরে সরকার গঠন করেছে।