টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। ছুটি পেয়ে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে হরতাল-অবরোধের মধ্যে বিড়ম্বনায় পড়লেও কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা।
সরেজমিনে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে ভূঞাপুর পৌর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বাস কাউন্টারের সাধারণ যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। দুপুর থেকে বাসস্ট্যান্ড চত্বরের কাউন্টারে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাস শ্রমিক ও সিএনজি শ্রমিকরা ইচ্ছে মতে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন।
আশুলিয়াগামী পোশাককর্মী রাশেদা বেগম ও সাদেকুল বলেন, গত বৃহস্পতিবার কর্ম শেষে অবরোধের মধ্যে অনেক কষ্ট করে বাড়িতে আসি। ছুটি শেষে আজ কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টারে আগে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা ভাড়া নিলেও ৩০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন বাস চালকরা।
ওয়ালটনকর্মী মোতালেব মিয়া নামের এক যাত্রী জানান, পরিবারের টানে গ্রামে এসেছিলাম আবার কর্মের প্রয়োজনে ফিরতে হয়েছে কর্মস্থলে। এক দিন ছুটি বেশি কাটালে অফিস টাকা কেটে নেবে তাই চলে যাচ্ছি। বাসে ফিরতে সুবিধা কিন্তু বাড়তি টাকা নিচ্ছে। কী আর করার, কাজে তো ফিরতে হবে।
বাস শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে হরতাল-অবরোধ চলছে। বাসখাতে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। যাত্রীও মিলছে না। মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে কর্মজীবীরা বাড়ি ফিরে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ছুটছে যাত্রীরা। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দাও বৃদ্ধি। তাই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কিছুটা বাড়ি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে, সিএনজি চালকরাও যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া করছেন। ভূঞাপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ২৫ টাকার ভাড়া নিচ্ছেন ৫০ টাকা ও গাজীপুরের চন্দ্রা, কোনাবাড়ী পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছেন ৫০০ টাকা। কর্মস্থলে ফেরার জন্য যেভাবেই হোক কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বাধ্য হয়ে কর্মস্থলে ছুটছেন কর্মজীবী মানুষগুলো।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা বাস-কোচ মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভূঞাপুর উপজেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। বাস মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।